Ad 728x90

Tuesday, May 10, 2022

ই-বুক রিভিউঃ মুহাম্মদ রাগিব নিযামের 'দ্য মিয়ানমার পোস্ট'

ই-বুক রিভিউঃ মুহাম্মদ রাগিব নিযামের 'দ্য মিয়ানমার পোস্ট'


 মুহাম্মদ রাগিব নিযাম।


নামটা হয়তো অনেকের কাছে পরিচিত নয়। কারণ উনি এতটা প্রসিদ্ধ এবং পরিচিত লেখক নন। এছাড়া তার লেখাগুলো বাংলাদেশের মেইনস্ট্রিমে না যাওয়াটাও আমাদের জীবনে একটা আক্ষেপ হয়ে থাকবে। সে যাই হোক এর আগে রাগিব ভাইয়ের লেখাগুলোকে যারা বুকে ধারণ করে রেখেছে ২০১৩ এর পর থেকে তারা অবশ্যই মনে রাখবে যে রাগিব নিযাম ভাইয়ের লেখা মানে কি। আজকে রাগিব নিযাম ভাইয়ের একটা বই নিয়ে আমি আপনাদের সামনে প্রতিবেদন তুলে ধরব সে প্রতিবেদনটা হল "দ্য মিয়ানমার পোস্ট" যা ২০২১ এর অক্টোবরে মুক্তি পেয়েছে।


হুমায়ূন আহমেদ স্যার মারা যাওয়ার পর একজন লেখক এর অবশ্যই দরকার ছিল। এ ধরনের লেখা গুলোকে আসলে বলিষ্ঠ মৌলিক লেখা হিসেবে দাবী করা যায় কারণ মৌলিক লেখা না হলে তাকে খুঁজে পাওয়া যেতো না। আসলে বাংলাদেশের প্রতি যুগে যুগে এ ধরণের লেখক যদি না জন্ম নেয় তাহলে বোঝা যাবে না তাহলে ওই লেখাটা কতটুকু দরকার। আর ওই জায়গাটা পূরণ করতেই আমার মনে হয় বাংলাদেশে এরকম একজন শক্তিশালী লেখক এর আবির্ভাব হয়েছে। দ্য মিয়ানমার পোস্ট বইটা পড়তে গিয়ে আমি জীবনে যত ধরনের বই পড়েছি তাদের মধ্যে বাংলা সাহিত্যের জন্য সবচেয়ে নতুন এবং আনকোরা স্টাইলের এক ধরনের লেখা আমি ওখানে দেখতে পেয়েছি।


তার লেখার মধ্যে রয়েছে সুতীক্ষ্ণ কিছু কৌশল এবং সে কৌশলে তিনি একই সাথে বহু চরিত্রের সমন্বয় বা একই সাথে অনেক হিরো দের কে নিয়ে কাজ করেছেন। জ্বি, হ্যাঁ। তিনি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সেই ব্যক্তি যার হাত ধরে একই সাথে অনেকগুলো চরিত্রের অভিষেক হলো কাগজের মলাটে। দ্য মিয়ানমার পোস্ট আদতে একটি সুপারহিরো গল্পের বই। যারা সুপারহিরো মুভি দেখেন কিংবা সুপারহিরো ভিত্তিক কমিক গুলো পড়েন তারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে সেখানে কেমন ধরনের লেখা বা গ্রাফিক নভেল, গ্রাফিক আকারে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।


একজন উঠতি লেখক হিসেবে তাঁর লেখার বর্ণনাশৈলী আরো একটু বড় হওয়া উচিত ছিলো  বলে আমি মনে করি এবং এই গল্পের বইয়ের কিছু কিছু জায়গায় চরিত্রগুলোর একটু বেশি বিস্তারিত বর্ণনা দিতে পারলে বোধহয় ভাল হতো। তবে ওভারঅল কাহিনীর কিছু ব্যাপার-স্যাপার আমার খুবই ভালো লেগেছে। যেমন একটা একটা চরিত্রকে তুলে ধরে আনা এবং তাদেরকে সবার সমন্বয়ে একটি মহা জোট গঠন করে সেই মহাজোটকে নিয়ে একটি প্রতিপক্ষ দেশের সাথে যুদ্ধ লেগে যাওয়ার যে ব্যাপারটা সেটা আসলেই অসাধারণ। শেষ দিকে এসে বইটাকে আমার কিছুটা রাশড মনে হয়েছে কারণ বইটা শেষ দিকে আরও একটু বেশি করে বর্ণনা দিলে, বোধহয় একটু স্লো হলে ভালো হতো। অতি তাড়াতাড়ি ভিত্তিক পান্ডুলিপি প্রকাশ করার কারণে হয়তো লেখা বেশ দ্রুত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় উনি যদি আরেকটু বড় করে লিখতেন হয়তো বইটা মান বিচারে অনেক অনেক আরও উৎকর্ষতর এবং আমার মনে হয় বাংলাদেশে কালজয়ী এক বই হয়ে থাকবে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো লেখক এর প্রতি ও তার দ্য মিয়ানমার পোস্ট বইয়ের প্রতি। তার বইয়ের জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ বাংলাদেশে তিনি সুপারহিরো ইউনিভার্স তৈরি করে দিয়েছেন। যে সাহস এখন পর্যন্ত অনেক লেখকের হয়নি।

Wednesday, April 27, 2022

মুভিপোকা ও বইকীট গ্রুপে ঈদ গল্প লেখার প্রতিযোগিতা

মুভিপোকা ও বইকীট গ্রুপে ঈদ গল্প লেখার প্রতিযোগিতা




 ▌মুভিকীট ও বইপোকা আয়োজিত ‘ছোটোগল্প প্রতিযোগিতা’র অংশগ্রহণের নিয়মাবলি—


● গল্পের শুরুতে #MKBP_ছোটোগল্প_প্রতিযোগিতা হ্যাশট্যাগ বাধ্যতামূলক। সঠিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার না করলে, গল্পটি বাতিল বলে গণ্য হবে। 


● শুধুমাত্র রহস্য ও রোমাঞ্চ জনরায় গল্প লিখতে হবে। যেখানে—থ্রিলার (ডিটেকটিভ, মিস্ট্রি, সাইকোলজিক্যাল, হিস্টোরিক্যাল, মিথলজিক্যাল, কনটেমপোরারি ইত্যাদি), ফ্যান্টাসি, হরর, সাই-ফাই, ওয়েস্টার্ন, লিটারারি ফিকশন (জাদুবস্তবতা, পরাবাস্তবতা), ডিস্টোপিয়া, ইউটোপিয়া ঘরনায় গল্প লেখা যাবে। 


● গল্পের শব্দ সংখ্যা হতে হবে সর্বনিম্ন ১০০০ এবং সর্বোচ্চ ৪০০০ পর্যন্ত। 


● গল্পের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোস্টার দিতে হবে তবে বাধ্যতামূলক নয়। 


● পূর্বে প্রকাশিত (পত্রিকা, ম্যাগাজিন, গল্প সংকলন, ফেসবুক টাইমলাইন, গ্রুপ বা পেজ) কোনো গল্প দেওয়া যাবে না। সম্পূর্ণ নতুন হতে হবে। যদি কোনোভাবে পূর্ব প্রকাশিত গল্প দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কোনো হদিস পাওয়া যায়; তবে সেই প্রতিযোগীকে বাতিল বলে বিবেচিত হবে।


● কারও কপি-পেস্ট বা চুরি করা লেখা ধরা পড়লে বিনা নোটিশে ব্যান এবং ফ্রি চুরির তকমা খচিত একখানা উপহার পোস্ট কপালে জুটবে। 


● গল্প সাবমিটের পর আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের ১০ জন বন্ধুকে ম্যানশন এবং ১০ জন নতুন সদস্যকে ইনভাইট করা বাধ্যতামূলক। যাদের ম্যানশন দিবেন তাদের আপনার গল্প নিয়ে মন্তব্য এবং ১০-এ রেটিং দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। কারণ, ৩০% পাবলিক রেসপন্স যাচাই করে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে। যত বেশি রেসপন্স ততই বিজয়ী হওয়ার সম্ভবনা থাকবে।


● অন্য প্রতিযোগীর পোস্ট নিয়ে মন্তব্য ও ১০-এ রেটিং দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। 


● সুন্দর, ভালো লেগেছে, ভালো ছিল, দারুণ লাগল; এমন ধরনের মন্তব্য না করে গঠনমূলক মন্তব্য করার অনুরোধ রইল। দয়াপরবশ মন্তব্য ধরা হবে না। 


● একজন প্রতিযোগী সর্বোচ্চ দুইটি গল্প সাবমিট করতে পারবেন। এতে #গল্প_১ ও #গল্প_২ ব্যবহার করতে হবে।


📌 গল্প যে কারণে বাতিল হবে:


■ হ্যাশট্যাগ সঠিক ব্যবহার না করলে।


■ ১০ জন বন্ধু ইনভাইট না করলে।


■ নিজ পোস্টে ১০ বন্ধুকে ম্যানশন এবং রেটিং ও মন্তব্য না চাওয়া হলে। 


■ অন্য প্রতিযোগীর পোস্টে মন্তব্য ও রেটিং না দিলে।


■ পূর্ব প্রকাশিত এবং চুরি বা কপি-পেস্ট কোনো গল্প সাবমিট করলে।


📌 বিজয়ী নির্ধারণের প্রক্রিয়া:

 

■ বিচারক প্যানেলের ৭০% নম্বর এবং মন্তব্য থেকে ৩০% নম্বরের গড় হিসাব করে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে। 


■ গড় নম্বর সমান হলে সর্বাধিক রিয়্যাকশন এবং মন্তব্য বিচারবিবেচনায় নেওয়া হবে। 


✅ পুরষ্কার:

 

■ সর্বোচ্চ তিন জনকে বিজয়ী হিসেবে নির্ধারণ করা হবে। 


■ পুরষ্কার হিসেবে থাকলে লেখক সম্মানী। একজন লেখকের ছোটোগল্পের জন্য যতটুকু প্রাপ্য। 


■ পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে সেরা একজন গঠনমূলক মন্তব্যকারীর জন্য রয়েছে বিশেষ পুরষ্কার। 


════════════════════════════


প্রতিযোগিতা চলবে ২৭ এপ্রিল থেকে পুরো মে পর্যন্ত। প্রস্তুতি তাহলে আজ থেকে শুরু হোক। এই প্রতিযোগিতার আমেজ আরও বাড়িয়ে দিতে আপনার লেখক বন্ধুদের ইনভাইট বা উক্ত পোস্টে ম্যানশন করতে পারেন। শুভকামনা সবার জন্য। 


বি.দ্র. প্রতিযোগিতার যে-কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মুভিপোকা ও বইকীট-এর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। 


বি.দ্র. ২ - প্রতিযোগিতার বাছাই করা ১০টি গল্প ও অ্যাডমিন প্যানেলের সদস্যদের গল্পের সমন্বয়ে আগামীতে একটি গল্প সংকলন প্রকাশ করার বিষয়টি গ্রুপ কর্তৃপক্ষের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। এই বিষয়ে প্রতিযোগিতা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।


ফেসবুক গ্রুপ লিংক- https://www.facebook.com/groups/167700651201697/?ref=শেয়ার

 বাংলাদেশের লেখালিখির বর্তমান অবস্থা ও সুপারহিরো জনরা-ওয়াসিম হাসান মাহমুদ

বাংলাদেশের লেখালিখির বর্তমান অবস্থা ও সুপারহিরো জনরা-ওয়াসিম হাসান মাহমুদ



কমিক্সের রঙিন পাতায়, এনিমেশনের রূপালি পর্দায় এবং কমিক বুক গল্পের উপর নির্মিত মুভিতে সুপারহিরোদের দেখা পাওয়া যায়।


বাংলাদেশে অ্যাভেঞ্জার্স মুভিগুলোর কল্যানে সুপারহিরোরা আবার যেন পুনর্জন্ম লাভ করেছেন অডিয়েন্সের মাথার ভিতরে। তবে সুপারহিরো জনরার টিভি সিরিজ, মুভি, কার্টুন এবং কমিক্স মিলেনিয়ালরা আরো ‌আগে উপভোগ করেছেন। 


বাংলাদেশে এখন অনেক জনরাই এক্সপ্লোর করা হচ্ছে। থ্রিলার সম্ভবত সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় জনরা এখন। অনেক উৎকৃষ্ট লেখক আবার থ্রিলারের মোড়কে সাইকোলজিক্যাল, ঐতিহাসিক, এবং সামাজিক উপন্যাস লিখছেন‌। তাদের লেখনী দারুন এবং লেখালেখির পিছনে করা গবেষণা সীমিত রিসোর্সের মধ্যে মোটামুটি ভালোই। ধারাবাহিকভাবে দারুন লিখে যাচ্ছেন কিশোর পাশা ইমন, সিদ্দিক আহমেদ, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, রবিন জামান খান, শরীফুল হাসান এবং আরো অনেকে। 


সায়েন্স ফিকশনের জনরা নিয়েও কাজ চলছে। সুন্দর লেখালেখি হচ্ছে ফ্যান্টাসি এবং মিথলজি বেইজড ফিকশনের উপর।


হররের অনুবাদ এবং মৌলিক হররের উপর‌ ভালো ব‌ই বের হচ্ছে। যদিও এই সকল জনরার লেখক এবং পাঠকদের যেতে হবে বহুদূর।


উল্লেখিত জনরা নিয়ে ইন্টাল্যাকচুয়াল এলিটিজমে ভুগা মানুষজন একধরণের উচ্চম্মন্যতায় ভুগে থাকেন। তারা কমিক্স, থ্রিলার, হরর, সায়েন্স ফিকশন এসব জনরাকে কোন সাহিত্য‌ই মনে করেন না। অথচ তাদের এই মনে করাটা না পড়েই। বেশি না সম্ভব হলে তিনটি ব‌ই পড়ার আমন্ত্রণ র‌ইলো তাদের প্রতি আমার দিক থেকে।


১) জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে 

     লেখক : কিশোর পাশা ইমন


২) এইখানে জাদুঘর পাতা আমাদের

     লেখক : কিশোর পাশা ইমন


৩) ধনুর্ধর 

     লেখক : সিদ্দিক আহমেদ


এরপর তাদের সুচিন্তিত মতামত জানতে চাই।


কমিক্স মানেই কিন্তু তীব্র বেগে কোন স্পিডস্টারের ছুটে যাওয়া বা আকাশে উড়তে উড়তে চোখ থেকে লেসার বীম ছুড়ে মারা নয়। অথবা নয় নীল রঙের কোন দানবের ক্রোধের মাথায় সবকিছু ভেঙেচুরে দেয়া। কোন মাস্ক পড়া কিশোরের ওয়েব দিয়ে বিল্ডিঙ থেকে বিল্ডিঙে যাতায়াত করা নয়। 


এসব তো গল্পের অনুসঙ্গ মাত্র। যারা কমিক্সের ইনক্রেডিবল ফ্যান তারা ভালোই জানেন আমি কি বলতে চাইছি।


কমিক বুকের ভিতরে এক‌ইসাথে থ্রিলার, সায়েন্স ফিকশন, হরর, সাসপেন্স, ডার্ক মিস্ট্রি, সামাজিক উপন্যাস, ইতিহাসকে উপজীব্য করে লিখা গল্প অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারে। শুধু সুপারম্যানকে নিয়ে কমিক্স ব‌ই বের হয়নি। শার্লক হোমসকে নিয়েও গ্রাফিক নভেল আছে। জর্জ অর‌‌ওয়েলের ১৯৮৪ এর গ্রাফিক নভেল ফরম্যাট আছে। মার্গারেট এট‌উডের "দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল" এর‌ও আছে। এরকম উদাহরণ অগুনতি দেয়া যায়। বাংলাদেশের লেখক নাবিল মুহতাসিমের গল্পের উপর করা গ্রাফিক নভেল "স্বাপদ সনে" এর গ্রাফিক নভেল তো রীতিমত সাড়া ফেলেছে।


কমিক্স মূলত সাহিত্যের এক ভিন্ন ফরম্যাটে উপস্থাপন ছাড়া কিছু নয়। গ্রাফিক নভেল এমন এক মিডিয়াম যেখানে রঙিন বা সাদাকালো প্যানেলে প্যানেলে অঙ্কন এবং লেখালেখি সমান্তরালে স্টোরিটেলিং করে যায়।


কমিক্স নিয়ে বাংলাদেশের রাইটার, আর্টিস্টরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের দেশের একজন লেখক রাগিব নিযাম জিসান সুপারহিরো জনরার উপর ব‌ই লিখছেন। কোন অঙ্কন ছাড়া ব‌ই। অর্থাৎ সুপারহিরো জনরার ব‌ই। নাম মনে করতে পারছিনা তবে শুনেছি "ডানায় আগুন" নামের একটি সুপারহিরো জনরার ব‌ই বাংলাদেশে প্রকাশিত হয়েছে। 


ইংলিশে আমি নিউইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার রাইটার ড্যান অ্যাবনেটের "এব্রিবডি ওয়ান্টস টু শেইভ দ্য ওয়ার্ল্ড" নামক সুপারহিরো জনরার দারুন এক ব‌ই পড়েছি। কোন অঙ্কন ছাড়া অ্যাভেঞ্জার্সদের উপর এই নভেলে কি সুন্দর করেই না লিখেছেন ড্যান।


বাংলাদেশে লেখকদের এক্সপ্লোর করার মতো একটি জনরা হতে পারে এই সুপারহিরো বেইজড গল্পগুলো। যত সহজ মনে হচ্ছে এসব গল্প লেখা আমার মতে তা মোটেও না। ভালো রিসার্চ এবং চমৎকার ভিজ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে গল্প ফুটিয়ে তুলতে হবে। কমিক্স, কার্টুন, এনিমেশন এবং মুভিতে যে রঙিন এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন দৃশ্যগুলো দেখানো হয়েছে অনন্য সিনেমাটোগ্রাফির মাধ্যমে তা শুধুমাত্র লিখে পাঠকের মাথার ভিতরে মুভি চালিয়ে দিতে হবে।


চ্যালেঞ্জিং হলেও আমাদের দেশে এই জনরা লেখার মত যোগ্য লেখক বেশ কয়েকজন আছেন। তারা নিজস্ব দেশ, সমাজ এবং পারিপার্শ্বিকতার নিরিখে বা অন্য কোন প্যরাডাইমে সুপারহিরো জনরার গল্প বা উপন্যাস লিখতে পারেন‌। যদি তাদের ইচ্ছে থাকে অবশ্য। 


সুপারহিরোরা কাউকে দোষারোপ না করে তার শহর, সমাজ, রাষ্ট্র, অথবা পৃথিবীর দায়িত্ব নিজ কাধে তুলে নেন কোন অভিযোগ ছাড়াই। যাদের মধ্যে অনেকের আবার কোন সুপারপাওয়ার‌ই নেই। তবে পৃথিবী রক্ষার গুরুদায়িত্বের ওজন তাদের কাধে চাপিয়ে দেয়া হলে তারা নিজেদের পাগুলো এই গরীব গ্রহের ভূমিতে গাছের মতো প্লান্ট করে ফেলেন‌‌। 


আমাদের দেশে অবশ্য‌ই সুপারহিরো জনরার উপর দুর্দান্ত সম্ভাবনাময় লেখক অনেক আছেন। সুপারহিরোদের মতো নিজ থেকে এই দায়িত্ব কাধে নিয়ে তারাও রাইটিং এর জগতে নিজেদের শক্ত ভিতের উপর দাড়িয়ে থাকতে পারেন।

Thursday, April 7, 2022

দুই বাংলার দুই স্বতন্ত্র্য ফিকশনাল সুপারহিরো ইউনিভার্সের স্বপ্নদ্রষ্টা মুহাম্মদ রাগিব নিযাম

দুই বাংলার দুই স্বতন্ত্র্য ফিকশনাল সুপারহিরো ইউনিভার্সের স্বপ্নদ্রষ্টা মুহাম্মদ রাগিব নিযাম


 দুই বাংলায় সমানভাবে পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে রাগিব নিযাম এর নিজস্ব ও মৌলিক ধারার সাহিত্য। তিনি একত্রিশে মার্চ ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম ফিকশনাল সুপারহিরো ইউনিভার্স এর যাত্রা শুরু করেছেন। উল্লেখ্য রাগিব নিযাম রেকর্ড করেছেন তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি বাংলাদেশের অতিমানবেরা সিরিজ দিয়ে। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ৬০ টিরও বেশী চরিত্র ও ১০০ টির উপরে গল্প ও ছোট উপন্যাস লিখে প্রতিনিয়ত তৈরি করে যাচ্ছেন রেকর্ড। বাংলাদেশের ইনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি প্রথম ফিকশনাল সুপারহিরো জগত  তৈরি করেছেন বা সুপারহিরো ফিকশনাল ইউনিভার্স তৈরি করেছেন।

রাগিব নিযাম এর প্রথম পশ্চিমবঙ্গের জন্য করা চরিত্রের নাম হলো নিশি প্রহরী। প্রহরীর উত্থানটা ভিন্ন ধাঁচে তিনি বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে একটি গল্পে লিখেছেন এবং উপজীব্য হয়েছে সেই জায়গাটি যার নাম দমদম স্টেশন। দমদম স্টেশনের কাছেই সেভেন ট্যাংকস নিবাসী দেবুকে নিয়ে গল্প এই নিশি প্রহরী

রাগিব মূলত সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তার গড়া বিশাল ইউনিভার্সের চরিত্রগুলো নিয়ে তিনি প্রত্যেকটি চরিত্রের জন্য ছোট-ছোট উপন্যাসে ভাগ করে লেখাগুলোকে বই আকারে ই-বুকে ছাড়ছেন ডিজিটাল বইয়ের একটি রূপ মানে পিডিএফ ডকুমেন্ট। এখন দেখা যাচ্ছে রাগিব প্রতি বছরই নিজের তিন-চারটে করে বই বের করছেন এবং তিনি এগিয়ে এসেছেন এবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য বাংলা ভাষায় প্রথম বাংলা সুপারহিরো ইউনিভার্স নিয়ে। এছাড়া, ২০২১ এর অক্টোবরে বের হয়েছে তাঁর লেখা হার্ডকপি বই 'দ্য মিয়ানমার পোস্ট''।

২০২১ সালে 'বাংলাদেশের অতিমানবেরা প্রথম খন্ড' ও 'পাগলা এটি একটি আততায়ী বই' বের করেন ই-বুক হিসেবে। ২০২২ সালে 'বাংলাদেশের অতিমানবেরা দ্বিতীয় খন্ড' এবং একই সাথে তিনটি বই মিলে নতুন একটি ট্রিলজি এনেছেন যার নাম 'সুপার লর্ড ট্রিলজি'। এই ট্রিলজির প্রথম বই এপ্রিল মাসে বের হয়েছে রানার চরিত্রের 'অবদ্রুতি' বই নামে। বাকি দুটি বই মানে ট্রিলজির দুটি বই হচ্ছে অনুমানব চরিত্রের নতুন বই 'সৌরবছর' ও রাতের প্রহরী চরিত্রের 'রাত নামার গল্প'। রাগিব নিযামের এই অধ্যায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে গবেষণামূলক এক যুগান্তকারী অধ্যায় হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকুক এই প্রত্যাশায় আমরা রাগিব নিযাম এর সুদূর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

Thursday, August 5, 2021

ইউটিউবে খুদে ভিডিওর জন্য মাসে ১০ হাজার ডলার

ইউটিউবে খুদে ভিডিওর জন্য মাসে ১০ হাজার ডলার

 টিকটকের অনুকরণে খুদে ভিডিও তৈরির সুবিধা আছে ইউটিউবে। সেটির নাম ইউটিউব শর্টস। আগামী এক বছরজুড়ে শর্টসে ভিডিও তৈরির জন্য নির্মাতাদের সব মিলিয়ে ১০ কোটি ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা ইউটিউবের। এর আওতায় ভিডিও নির্মাতারা মাসে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার করে পেতে পারেন।

বিজ্ঞাপনে ছোট হরফে শর্ত প্রযোজ্য লেখার মতো এখানেও শর্ত আছে। প্রথমত, ভিডিওগুলোকে জনপ্রিয় হতে হবে। সেই জনপ্রিয়তার মাপকাঠি ঠিক হবে কত মানুষ ইউটিউব শর্টসের জন্য ভিডিও তৈরি করছে এবং সেগুলো দেখছে, তার ওপর। আবার বিশ্বের কোন অঞ্চল থেকে দর্শকেরা ভিডিওগুলো দেখছেন, সেই বিষয়ের ওপরও অর্থপ্রাপ্তির ব্যাপারটি নির্ভর করছে বলে জানানো হয়েছে দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে।

আরেকটি ব্যাপার হলো ভিডিওগুলো ‘অরিজিনাল’ হতে হবে। অন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে নামিয়ে পুনরায় আপলোড করলে চলবে না। সেগুলোতে টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রাম রিলের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর লোগো বা নাম থাকলে সেই চ্যানেল অর্থ পাওয়ার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবে।


শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, ব্রাজিলসহ ১০টি দেশের নির্মাতারা ইউটিউব শর্টসে ভিডিও তৈরির জন্য এই তহবিল থেকে অর্থ পাবেন। সেখানে আপাতত বাংলাদেশের নাম নেই, তবে পর্যায়ক্রমে দেশের তালিকা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছে ইউটিউব।

ইউটিউবে নির্মাতারা সচরাচর তাঁদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অর্থ পেয়ে থাকেন। সেখানে বিজ্ঞাপন যতবার দেখা হলো, তাঁর সঙ্গে প্রাপ্ত অর্থের একটা সম্পর্ক থাকে। তবে শর্টসে প্রতিটি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাতে চায় না ইউটিউব। সে কারণেই নির্মাতাদের অর্থ পরিশোধের বিকল্প উপায় খুঁজে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে পরবর্তীকালে অন্য কোনো কর্মসূচির মাধ্যমে মনিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউটিউবের প্রধান পণ্য কর্মকর্তা নিল মোহন। সুত্রঃ প্রথম আলো



পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মালিকদের জন্য দুঃসংবাদ

পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মালিকদের জন্য দুঃসংবাদ

 

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা পুরোনো স্মার্টফোনগুলোর মালিকদের দুঃসংবাদ দিল গুগল। ওই স্মার্টফোনগুলোতে গুগলে লগইন করা যাবে না, ব্যবহার করা যাবে না গুগলের কোনো অ্যাপ।

তবে পুরোনো মানে পুরোনো। নিত্যদিন নতুন মডেলের স্মার্টফোন বাজারে আসার এ যুগে সেটাকে প্রাচীনও বলা যেতে পারে। গুগলের ঘোষণায় অ্যান্ড্রয়েড ২.৩.৭, অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেড বা তার আগের অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনগুলোর জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

অ্যান্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেডের ঘোষণা গুগল দেয় ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। সেটা এক দশকেরও আগে। তবে কোটি কোটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন এখন মানুষের হাতে। সঠিক পরিসংখ্যান না জেনেও বলে দেওয়া যায়, অনেকের হাতেই এখনো জিঞ্জারব্রেড বা তার আগের সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন আছে। সেই পরিমাণও নিশ্চয় নগণ্য নয়।


খবরটি গুগলের পক্ষ থেকেই এসেছে। এক নির্দেশিকায় গুগল বলেছে, ‘ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখার চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে অ্যান্ড্রয়েড ২.৩.৭ কিংবা আগের সংস্করণগুলোতে চলা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে লগইন করতে দেবে না গুগল। আপনি যদি ২৭ সেপ্টেম্বরের পর আপনার ডিভাইসে জি–মেইল, ইউটিউব ও ম্যাপসের মতো গুগলের সেবায় লগইন করার চেষ্টা করেন, তবে ইউজারনেম কিংবা পাসওয়ার্ড ভুল দেখাতে পারে।’

আর গুগলের সেবা ব্যবহারের সুযোগ না থাকলে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারের পূর্ণ সুবিধাও পাওয়া যাবে না। অনেকের কাছেই সেটা অকেজো মনে হবে। একমাত্র আশা হলো, পুরোনো স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেম যদি অ্যান্ড্রয়েড ৩.০ বা নতুন সংস্করণগুলোতে হালনাগাদ করার সুযোগ থাকে, তবে দ্রুত হালনাগাদ করে নেওয়া। সুত্রঃ প্রথম আলো