Thursday, August 5, 2021

ইউটিউবে খুদে ভিডিওর জন্য মাসে ১০ হাজার ডলার

ইউটিউবে খুদে ভিডিওর জন্য মাসে ১০ হাজার ডলার

 টিকটকের অনুকরণে খুদে ভিডিও তৈরির সুবিধা আছে ইউটিউবে। সেটির নাম ইউটিউব শর্টস। আগামী এক বছরজুড়ে শর্টসে ভিডিও তৈরির জন্য নির্মাতাদের সব মিলিয়ে ১০ কোটি ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা ইউটিউবের। এর আওতায় ভিডিও নির্মাতারা মাসে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার করে পেতে পারেন।

বিজ্ঞাপনে ছোট হরফে শর্ত প্রযোজ্য লেখার মতো এখানেও শর্ত আছে। প্রথমত, ভিডিওগুলোকে জনপ্রিয় হতে হবে। সেই জনপ্রিয়তার মাপকাঠি ঠিক হবে কত মানুষ ইউটিউব শর্টসের জন্য ভিডিও তৈরি করছে এবং সেগুলো দেখছে, তার ওপর। আবার বিশ্বের কোন অঞ্চল থেকে দর্শকেরা ভিডিওগুলো দেখছেন, সেই বিষয়ের ওপরও অর্থপ্রাপ্তির ব্যাপারটি নির্ভর করছে বলে জানানো হয়েছে দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে।

আরেকটি ব্যাপার হলো ভিডিওগুলো ‘অরিজিনাল’ হতে হবে। অন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে নামিয়ে পুনরায় আপলোড করলে চলবে না। সেগুলোতে টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রাম রিলের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর লোগো বা নাম থাকলে সেই চ্যানেল অর্থ পাওয়ার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবে।


শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, ব্রাজিলসহ ১০টি দেশের নির্মাতারা ইউটিউব শর্টসে ভিডিও তৈরির জন্য এই তহবিল থেকে অর্থ পাবেন। সেখানে আপাতত বাংলাদেশের নাম নেই, তবে পর্যায়ক্রমে দেশের তালিকা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছে ইউটিউব।

ইউটিউবে নির্মাতারা সচরাচর তাঁদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অর্থ পেয়ে থাকেন। সেখানে বিজ্ঞাপন যতবার দেখা হলো, তাঁর সঙ্গে প্রাপ্ত অর্থের একটা সম্পর্ক থাকে। তবে শর্টসে প্রতিটি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাতে চায় না ইউটিউব। সে কারণেই নির্মাতাদের অর্থ পরিশোধের বিকল্প উপায় খুঁজে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে পরবর্তীকালে অন্য কোনো কর্মসূচির মাধ্যমে মনিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউটিউবের প্রধান পণ্য কর্মকর্তা নিল মোহন। সুত্রঃ প্রথম আলো



পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মালিকদের জন্য দুঃসংবাদ

পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মালিকদের জন্য দুঃসংবাদ

 

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা পুরোনো স্মার্টফোনগুলোর মালিকদের দুঃসংবাদ দিল গুগল। ওই স্মার্টফোনগুলোতে গুগলে লগইন করা যাবে না, ব্যবহার করা যাবে না গুগলের কোনো অ্যাপ।

তবে পুরোনো মানে পুরোনো। নিত্যদিন নতুন মডেলের স্মার্টফোন বাজারে আসার এ যুগে সেটাকে প্রাচীনও বলা যেতে পারে। গুগলের ঘোষণায় অ্যান্ড্রয়েড ২.৩.৭, অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেড বা তার আগের অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনগুলোর জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

অ্যান্ড্রয়েড জিঞ্জারব্রেডের ঘোষণা গুগল দেয় ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। সেটা এক দশকেরও আগে। তবে কোটি কোটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন এখন মানুষের হাতে। সঠিক পরিসংখ্যান না জেনেও বলে দেওয়া যায়, অনেকের হাতেই এখনো জিঞ্জারব্রেড বা তার আগের সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন আছে। সেই পরিমাণও নিশ্চয় নগণ্য নয়।


খবরটি গুগলের পক্ষ থেকেই এসেছে। এক নির্দেশিকায় গুগল বলেছে, ‘ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখার চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে অ্যান্ড্রয়েড ২.৩.৭ কিংবা আগের সংস্করণগুলোতে চলা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে লগইন করতে দেবে না গুগল। আপনি যদি ২৭ সেপ্টেম্বরের পর আপনার ডিভাইসে জি–মেইল, ইউটিউব ও ম্যাপসের মতো গুগলের সেবায় লগইন করার চেষ্টা করেন, তবে ইউজারনেম কিংবা পাসওয়ার্ড ভুল দেখাতে পারে।’

আর গুগলের সেবা ব্যবহারের সুযোগ না থাকলে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারের পূর্ণ সুবিধাও পাওয়া যাবে না। অনেকের কাছেই সেটা অকেজো মনে হবে। একমাত্র আশা হলো, পুরোনো স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেম যদি অ্যান্ড্রয়েড ৩.০ বা নতুন সংস্করণগুলোতে হালনাগাদ করার সুযোগ থাকে, তবে দ্রুত হালনাগাদ করে নেওয়া। সুত্রঃ প্রথম আলো



আ.লীগের কর্মসূচিতে ওসির স্লোগানের ভিডিও ছড়িয়েছে ফেসবুকে

আ.লীগের কর্মসূচিতে ওসির স্লোগানের ভিডিও ছড়িয়েছে ফেসবুকে


 

শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেনের স্লোগানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বালন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে তিনি স্লোগান দেন। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ২৭ সেকেন্ডের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্লোগান দিয়ে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ লঙ্ঘন করেছেন।


স্থানীয় সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ওই অনুষ্ঠানে মোমবাতি প্রজ্বালন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে কেক কেটে জন্মদিন উদ্‌যাপন করা হয়।

শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সদর উপজেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌরসভা কমিটির সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন। তিনি সেখানে দলীয় স্লোগান দেন। তাঁর স্লোগানের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ২৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, মোমবাতি হাতে ওসি স্লোগান দিচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে সাংসদ ইকবাল হোসেন ও আওয়ামী লীগের নেতারা কণ্ঠ মেলাচ্ছেন। স্লোগানে ওসি বলেছেন, ‘শুভ, শুভ, শুভদিন; শেখ কামালের জন্মদিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। আমরা সবাই মুজিব সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা।’


সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘শেখ কামালের জন্মদিন অনুষ্ঠানে পালং মডেল থানার পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। সেখানে ওসি আমাদের সঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নেন। ওসি আক্তার হোসেন একসময় ছাত্রলীগ করতেন। তিনি কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ড করতে পারেন না। কাজটি করে পালং মডেল থানার ওসি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজিকে জানানো হবে।

জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করতাম। আওয়ামী লীগের নেতাদের অনুরোধে ও আবেগের কারণে স্লোগান দিয়েছি। এতে কোনো বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করছি না।’সুত্রঃ প্রথম আলো



মোস্তাফিজকে অবিশ্বাস্য লাগছে অস্ট্রেলীয়দের

মোস্তাফিজকে অবিশ্বাস্য লাগছে অস্ট্রেলীয়দের



সিরিজ শুরুর আগে শটটা অনেকবারই অনুশীলন করতে দেখা গেছে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে।

পেসারদের বিপক্ষে অফ স্টাম্পের বাইরে গিয়ে অনেকটা প্যাডেল সুইপের মতো করে স্কয়ার লেগের ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে মারা।

কিন্তু ওয়েডের দুর্ভাগ্য! ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমানের বিপক্ষে ঠিক এই শট খেলতে গিয়েই বোল্ড হলেন তিনি।


ওয়েডের আউটটির সঙ্গে মিশে আছে আরও কিছু গল্প। বল ছাড়ার সময় লাফিয়ে অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে এসে সুইপের চেষ্টা করেছিলেন ওয়েড। কিন্তু মোস্তাফিজ গতি কমিয়ে বলটাকে এতটাই ঘুরিয়ে দিলেন যে ওয়েডের চোখ ছানাবড়া!

অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বলটা যে ঘুরতে ঘুরতে আঘাত করেছে লেগ স্টাম্পে। আর তাতে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি ওয়েড।


এর ঠিক পরের বলের গল্পটাও অবিশ্বাস্য। মাত্র ক্রিজে আসা অ্যাশটন অ্যাগারের জন্য মোস্তাফিজ উপহার হিসেবে দিলেন শর্ট বল। যেকোনো সাধারণ পেসারের এই লেংথের বল পুল অথবা কাট করে চার-ছক্কা মারা সম্ভব।


কিন্তু মোস্তাফিজের বল বলে কথা। তিনি শর্ট বলেও কাটার মিশিয়েছেন। অ্যাগারের দুর্ভাগ্য, মোস্তাফিজের হাত থেকে ছুটে গিয়ে বলের সিম আঘাত করে উইকেটে। কাটারের সঙ্গে সিমের আঘাতে বল লাফিয়ে ওঠে। এতটাই লাফিয়ে উঠল যে অ্যাগার নিজের মুখ বাঁচাতে ব্যাট পেতে দেন বলের রাস্তায়। বলও কিপার নুরুল হাসানের কাছে চলে গেল সহজেই।


আউট হয়ে অ্যাগারের প্রতিক্রিয়াও ছিল অনেকটা ওয়েডের মতো। তাঁরও চোখে–মুখে ছিল অবিশ্বাস। ক্রিজ ছেড়ে যাওয়ার আগে নন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়ানো সতীর্থের দিকে তাকিয়ে অ্যাগার হেসেই ফেললেন। যেন সতীর্থ অ্যান্ড্রু টাইকে অ্যাগার বলছিলেন, ‘এটা কীভাবে সম্ভব!’

একই প্রশ্ন হয়তো করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার জস ফিলিপে। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান পাওয়ার–প্লেতে খেলছিলেন মোস্তাফিজের প্রথম ওভার। কী ভেবে যেন ওয়েডের মতো অফ স্টাম্পের বাইরে গিয়ে মোস্তাফিজকে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে মারার চেষ্টা করেন ফিলিপে।


কিন্তু চতুর মোস্তাফিজ ফিলিপেকে সরতে দেখে গতি কমিয়ে বল ছাড়লেন। ততক্ষণে ব্যাট চালিয়ে ফেলেন এ অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান। বল এল দেরিতে। ফিলিপে চেয়ে চেয়ে দেখলেন, বল ধীরে ধীরে তাঁর লেগ স্টাম্পে আঘাত করছে। ফিলিপের চোখে–মুখে তখন বোকা বোকা ভাব। নিজেকে নিজেই যেন প্রশ্ন করছিলেন, ‘এ কী হলো আমার?’ ওয়েড, অ্যাগারের মতো হতবিহ্বল চেহারা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকেও।

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে এভাবেই তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ম্যাচের স্কোরকার্ড দেখলে মনে হবে মোস্তাফিজ ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। এর বেশি কিছু মাথায় আসার কথা না।

কিন্তু এই তিন উইকেট যেভাবে এসেছে তা পুরো অস্ট্রেলিয়া দলের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। মনোজগতে ফেলেছে গভীর ছাপ। ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ওয়েড পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে যেমন বলছিলেন, ‘ওরা গতি কমিয়ে বল করেছে। বলকে প্রচুর ঘুরিয়েছে। যার বিপক্ষে আমাদের কোনো জবাব ছিল না।’


ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও অবিশ্বাসটা ঘুরপাক খাচ্ছিল। অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ান এক সাংবাদিকের প্রথম প্রশ্নই ছিল মোস্তাফিজকে নিয়ে। উত্তর দিতে এসে অলরাউন্ডার মোয়েজেস হেনরিকেসের মুখের ভাবভঙ্গি বদলে গেল। অবিশ্বাসমিশ্রিত চেহারায় মাথা এপাশ–ওপাশ ঘোরাতে লাগলেন। অথচ মোস্তাফিজের সঙ্গে আইপিএলে একই দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন তিনি।

রাত পেরিয়ে সকাল। তখনো যেন ঘোর কাটেনি অস্ট্রেলিয়ার। আজ সকালে অস্ট্রেলীয় দলের অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাঁহাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার অ্যাগার। গতকালের মতো আজও অ্যাগারের জন্য ‘মোস্তাফিজ’ প্রশ্ন নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন এক অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক।

সকাল সকাল নামটা শুনতেই অ্যাগার যে হাসিটা দিলেন, সেটার সঙ্গে গতকালের আউট হওয়ার পরের হাসির অনেক মিল। যেন অ্যাগারের চোখের সামনে গতকালের অবিশ্বাস্য আউটের দৃশ্য ফুটে উঠল।


দৃশ্যটা কল্পনা করতেই যেন অ্যাগারের মুখ থেকে বেরিয়ে এল, ‘সে একজন অবিশ্বাস্য বোলার। এককথায় দুর্দান্ত। ওই স্লো বলটা করার যে সামর্থ্য তাঁর, তা চোখধাঁধানো। আপনি যদি স্লো মোশনে দেখেন তাঁর বোলিং, বলতেই হয়, এটা দারুণ দক্ষতা। ওর ওই বলটা স্লোয়ার বল কিন্তু ওতটা স্লো না। আমি কাল যেভাবে আউট হলাম, সেটা লাফিয়ে উঠেছে। কখনো এই বলটাই নিচু হয়ে আসবে। বাঁক খাবে। একেক সময় একেক রকম আচরণ করবে।’


দুই ম্যাচ শেষ। সিরিজের বাকি আরও তিন ম্যাচ। কীভাবে মোস্তাফিজকে খেলা সম্ভব, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে নিশ্চয়ই এখন এলোমেলো অস্ট্রেলিয়ার ভাবনার জগত। কল্পনা করাই যায়, টিম মিটিংয়ে বড় পর্দায় মোস্তাফিজের বোলিংয়ের প্রতিটি ফ্রেম থামিয়ে থামিয়ে বিশ্লেষণ করছেন অস্ট্রেলিয়া দলের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট। ব্যাটসম্যানরা কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কাছে যাচ্ছেন মোস্তাফিজকে কীভাবে খেলা যায়, সেটা জানতে।


অথচ এ সিরিজে অস্ট্রেলীয় বোলারদেরই ভয় পাওয়ার কথা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। সিরিজ শুরুর আগে এ নিয়ে কথাও উঠেছিল। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা কীভাবে মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউডদের সামলাবেন—শঙ্কা ছিল এ নিয়েই।

কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য বোলারের নাম নিয়ে বেশি চিন্তিত না হয়ে তাঁদের বলগুলোকেই খেলতে বলেছিলেন ঠিকমতো। সিরিজের দুই ম্যাচ পর প্রশ্নটা এখন অস্ট্রেলিয়ার ক্যাম্পে। মোস্তাফিজ থাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মানসিক সুবিধাটা এখন বাংলাদেশের পক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার মনের ভূতের নাম যেন মোস্তাফিজ! সুত্রঃ প্রথম আলো

বাংলাদেশেরও আছে সুপারহিরোদের এক বিশাল জগত

বাংলাদেশেরও আছে সুপারহিরোদের এক বিশাল জগত

আমরা গিয়েছিলাম বাংলাদেশের প্রথম সুপারহিরো ফিকশনাল ইউনিভার্স এর জনক তরূণ প্রজন্মের সাহিত্যিক মুহাম্মদ রাগিব নিযামের কাছে। "বাংলাদেশের অতিমানবেরা" শিরোনামে তার বিশাল একটি গল্পের সিরিজ আছে। যা ২০১৩ থেকে আজ অব্দি চলছে অনলাইন এবং অফলাইনে সমান তালে। চলুন পড়ে নেই সেই সাক্ষাৎকারটি।

কেটিভিঃ কেমন আছেন?
রাগিবঃ তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
কেটিভিঃ সাত বছরে পা দেবে আপনার সিরিজ। বলা হচ্ছে এটা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে চলমান গল্প সিরিজ। কেমন বোধ করছেন?
রাগিবঃ আমি কর্মে বিশ্বাসী। এই সাত বছরটা আমার জন্য কিছুই না। আমার মনে হচ্ছে সেদিন শুরু করেছি। আমাদের টিমে অ্যানালাইজার আছে। প্রথম যখন শুরু করি কেউ ছিলো না পাশে। এখন পাঁচ জন গবেষক আছে। তারা আমাকে ভিলেনের পাওয়ার, নতুন কি ধরণের সুপারহিরো নিয়ে গল্প লেখা যায় সেজন্য সাজেস্ট করে।
কেটিভিঃ একটু ব্রিফ দেবেন আপনার এই কাজ সম্বন্ধে?
রাগিবঃ দেখেন, হুমায়ুন স্যার, কাজী আনোয়ার হোসেন এরা এক একটা মাইক্রোভার্স বানিয়েছেন। হিমু, মিসির আলী এদের এক একটা নিজস্ব জগত আছে। মাসুদ রানা, খবির, সোহানা, কুয়াশা আরো অনেক চরিত্র আছে এই মাসুদ রানা ভার্স এ।  তেমনটা আমারটাও। আমি এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০+ চরিত্র নিয়ে কাজ করেছি। ১০০টার মতো গল্প উপন্যাস লেখা হয়ে গেছে।
কেটিভিঃ একটু আগে হুমায়ুন স্যারের কথা বললেন। আপনি রম্য লিখতেন একসময়। সেটা ছেড়ে কেনো সুপারহিরো সায়েন্স ফিকশন নিয়ে উঠে পড়ে লাগলেন?
রাগিবঃ বাংলাদেশে সুপারহিরোর একটা বৈশ্বিক ধাক্কা এসে পড়েছে। যেদিকে যাই এভেঞ্জারস, জাস্টিস লীগ, সুপার ম্যান, আয়রন ম্যান, ব্যাটম্যান, স্পাইডারম্যান এসব। আমি ২০১১ সালে হুমায়ুন স্যার মারা যাওয়ার পর চিন্তা করেছিলাম এমন কিছু করতে যা সম্পূর্ণ নতুন হবে আমাদের নেক্সট জেনারেশনের জন্য। এখন সবাই ক্রেজি সুপার ফিকশনের জন্য। আর রম্যের পথে হাটিনি কারণ প্রেম, ভালোবাসা, হিমু টাইপ গল্প এসব লেখার জন্য প্রচুর লেখকে সয়লাব হয়ে গেছে দেশে। আমি নিজে ঐ গন্ডী থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি এবং সফল হয়েছি।
কেটিভিঃ এর মানে হলো জাফর ইকবাল স্যারের পর আপনি হাল ধরছেন প্রজন্মের?
রাগিবঃ এটা কি বললেন? আমি তো নগন্য। স্যার হলেন বাংলা সায়েন্স ফিকশনের জনক।
কেটিভিঃ আর আপনি বাংলাদেশের সুপারহিরোদের জনক।
রাগিবঃ হা হা হা। ফাদার অব বাংলা সুপারহিরোজ। আই লাইক ইট।
কেটিভিঃ আপনার কোনো স্পেশাল সিরিজ আছে। কিছু চরিত্রের বিশ্লেষণ দিতেন যদি...
রাগিবঃ আমি এই মেগা সিরিজের আন্ডারে অনেক টিম আপ, সিরিজ, চরিত্র নিয়ে লিখেছি। সিরিজ- এজেন্টস অব ডি, রেড ব্যাটেলিয়ন,্গোপন সংঘ, দুর্ধর্ষ সংঘ(কিলিং ডিসেম্বর), দশবজ্র, প্রহরী কর্প, লীগ অব মাস্টার্স , তরুণ সংঘ ও দ্রুতি সংঘ। মেটাহিউম্যান, ভিজিলেন্টি, মিউট্যান্ট অনেক রকম পাওয়ারের চরিত্র আছে।
কেটিভিঃ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
রাগিবঃ আমার মাথায় খুব চাপ এসছে। কিলিং ডিসেম্বর আর রেড ব্যাটেলিয়ন এই দুটো সিরিজের ৫ম খন্ড পর্যন্ত শেষ করা লেখা। ইউনিভার্স আর রাখতে চাই না।
কেটিভিঃ সেকি শেষ করে দেবেন লেখালেখি?
রাগিবঃ গেম অব থ্রোনসের লেখকের মতো একটু জিরিয়ে নতুন কোনো জগত নিয়ে লেখা আরম্ভ করবো?
কেটিভিঃ নুতন জগত দিয়ে আমাদের মুগ্ধ করবেন এই প্রত্যাশায় শুভ কামনা।
রাগিবঃ আপনাদের ও ধন্যবাদ আসার জন্য।

দেখুন যুদ্ধক্ষেত্রে কিভাবে সৈনিকেরা নিজেদের টিকিয়ে রাখে

Wednesday, August 4, 2021

১৭টি ব্রাহামা গরু ছাড়ের আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

১৭টি ব্রাহামা গরু ছাড়ের আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ



 ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জব্দ করা ব্রাহামা জাতের ১৭টি গরু ছাড়করণ চেয়ে করা আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

জব্দ গরুগুলো ছাড়করণে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষের কাছে গত ১৭ জুলাই আবেদন করেন সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। ফল না পেয়ে আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ ও গরুগুলো ছাড়করণের নির্দেশনা চেয়ে চলতি সপ্তাহে রিট করেন ইমরান।


আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার।

গত ৫ জুলাই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আনা ব্রাহামা জাতের ১৮টি গরু জব্দ করে ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।

পরদিন কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ কার্গো ফ্লাইটে গরুগুলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। পরে ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা বিমানবন্দর থেকে গরুগুলোকে মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করেন।


বাংলাদেশে ব্রাহামা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকা এবং গরুর আমদানিকারককে না পাওয়ায় এগুলো জব্দ করা হয়।

জব্দ করা প্রতিটি গরুর বাজারমূল্য ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কাস্টম হাউস সূত্র জানিয়েছে, ১৩ থেকে ৬০ মাস বয়সী এই গরুগুলোর আমদানিকারক হিসেবে মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রোর নাম লেখা রয়েছে। বিমানবন্দরে জব্দ করা বিদেশি গরুগুলো কেউ নিতে আসেননি।

সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ১৮টি গুরু জব্দ করা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি মারা গেছে। বাকি গরুগুলোর ছাড়করণ চেয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন গত রোববার রিট করেন। আদালত ১৭টি গরু ছাড়করণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে সাদিক অ্যাগ্রোর করা করা আবেদনটি ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কাস্টম হাউসের হেফাজতে গরু রাখার ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জিম্মায় ৬ জুলাই থেকে ১৭টি গরু সাভার ডেইরি ফার্মে রয়েছে। সুত্রঃ প্রথম আলো



পরীমনি ও নজরুল রাজের নামে একাধিক মামলা হবে: র‍্যাব

পরীমনি ও নজরুল রাজের নামে একাধিক মামলা হবে: র‍্যাব


চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজ চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজ চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে র‍্যাব সদর দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের নামে একাধিক মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ জানিয়েছেন, পরীমনি ও নজরুল রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে। এ ছাড়া নথিপত্র যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা হতে পারে। বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বাংলা চলচ্চিত্রের এ সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমনিকে গতকাল বুধবার রাতে আটক করা হয়। তাঁর বাসা থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এরপর প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ওরফে নজরুল রাজকে কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। র‍্যাব বলছে, পরীমনির বিরুদ্ধে বাসায় মাদকদ্রব্য থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। নজরুল রাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মাদকের আসর বসিয়ে সেখানে আসা বিত্তবান ব্যবসায়ী ও উচ্চবিত্তের সন্তানদের ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেলিং করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন। সুত্রঃ প্রথম আলো